মঙ্গলবার, ০১ Jul ২০২৫, ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

সামুদ্রিক মাছের উপর চাপ কমাতে শৈবাল চাষের বিকল্প নেই

ভয়েস প্রতিবেদক:

সামুদ্রিক মাছের উপর চাপ কমাতে এবং দেশকে সুনীল অর্থনীতিতে এগিয়ে নিতে শৈবাল চাষে বিকল্প নেই। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করতে সামুদ্রিক শৈবাল গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করেন সামুদ্রিক মৎস্য গবেষকরা।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে রামুর বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে কক্সবাজার উপকূলে সামুদ্রিক শৈবালের পরীক্ষামূলক চাষ বিষয়ক এক কর্মশালায় এসব মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি শেখ আবিদ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অফ মেরিন সাইন্স এন্ড ফিশারিজ এর ডিন প্রফেসর ড. রাশেদ উন নবী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সুনীল অর্থনীতিতে সামুদ্রিক শৈবাল অপার সম্ভাবনাময় একটি উপাদান। এর ব্যবহার সারা বিশ্বে রয়েছে। মালয়েশিয়াতে শৈবাল বা সীইউড একটি মূল্যবান পণ্য। বিশ্বের অনেক দেশে এই পণ্যকে খাদ্যের অংশ হিসেবে রাখা হয়। বাংলাদেশে এর ব্যববহার আগে তেমন দেখা না গেলেও বর্তমান সময়ে এটি একটি জনপ্রিয় পণ্য হয়ে উঠছে। বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে শৈবালকে খাবার হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়া সামুদ্রিক মাছের উপর চাপ কমাতে শৈবাল খাবার হিসেবে গ্রহণ করতে পারে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সমু্দ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাঈদ মোহাম্মদ শরীফ।

এসময় শরীফ বলেন, সামুদ্রিক শৈবালের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ সমু্দ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট কাজ করে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

প্রফেসর ড. রাশেদ উন নবী আরো বলেন, দেশের উন্নয়নে সামুদ্রিক এই পণ্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। দেশের অভ্যন্তরে এর চাহিদা মেটানোর পর বিদেশেও রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।’

এসময় শৈবাল চাষের প্রকল্প পরিচালক শিমুল ভুঁইয়া শৈবাল চাষে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশানোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড.ওয়াহিদুল আলম, অধ্যাপক এনামুল হকসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।

এ কর্মশালায় কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চলের অর্ধশতাধিক শৈবাল চাষী অংশ নেয়।

উল্লেখ, উক্ত শৈবাল চাষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশন, অর্থায়ন করছেন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং সর্বাত্মক কারিগরি সহযোগীতা প্রদান করেন বাংলাদেশ সমু্দ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION